অবাক হয়ে দেখি , কিভাবে আমরা কৃষি এবং পন্য ভিত্তিক অর্থনীতি থেকে সেবামূলক অর্থনীতিতে রূপান্তরিত হচ্ছি , আজ দেশের অর্ধেকের বেশি জিডিপি contribution এই সেবমূলক সেক্টর থেকে , শুধু বাংলাদেশ নয়, উন্নত এবং উন্নয়নশীল সব দেশই শিফট করছে এই সেবামূলক অর্থনীতিতে , কোথায় যেন পড়লাম , IBM এর মত বড় কমপনির ভ্যালু এখন প্রোডাক্ট (যেমন hardware ) থেকে নয় বরং সার্ভিস থেকে এবং non tangible আইটেম যেমন সফ্টওয়্যার থেকে । আজ ইউএস এ এর অর্থনীতি প্রায় ভিত্তিবদ্ধ এই সার্ভিস related অর্থনীতিতে । একদিন ভাবলাম খুব একটা সহজ পরীক্ষা করব , তা হল , সারাদিন আমি যা খরচ করি তার কত অংশ পন্ন কিনতে এবং কত অংশ সেবা কিনতে খরচ করি , শেষে দেখলাম , শুধু খাবার এর বাজার ছাড়া সব ই গেছে সেবা কিনতে , যেমন মোবাইল এর বিল , সিএনজি ভাড়া , সিনেমার টিকেট , টিভি দেখলাম কাজেই dish এর বিল এর একটা অংশ, গ্রামে বসে ইন্টারনেট বাবহার করব , কাজেই ইউএসবি স্টিক এর খরচ , মোটকথা সেবা কিনতেই খরচ বেশি । আশি এবং নব্বই এর দশকে , চারপাশে দেখতাম বেকরত্তের অভিশাপ , ঢাকা বিশশবিদ্যালয় থেকে পাস করে কত জনকে বেকার বসে থাকতে দেখেছি , আর আজ? গ্রামের ছোট কলেজ অথবা অক্ষাত প্রাইভেট বিশশবিদ্যালয় থেকে পাস করেও চাকরি করছে আমাদের যুবকরা , এর সবই সম্বব হয়েছে এই সেবা মূলক সেক্টর এর মধ্যমে । আমাদের দেশে সেবামূলক সেক্টর মানেই wholesale, ট্রেডিং , transportation , কম্যুনিকেশন যেমন বিশাল মোবাইল নেটওয়ার্ক , সরকারী সোসাল সার্ভিস যেমন শিক্ষা , স্বাস্থ্য সেবা , পাবলিক administration এবং defense এসবকেই বুঝায় । হালে ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস যেমন ব্যাঙ্ক, ইনসিওরেন্স ইত্তাদি যুক্ত হয়েছে , অম্লীগ যখন আগেরবার ক্ষমতায় ছিল , তখন প্রচুর প্রাইভেট ব্যাঙ্ক হয়েছে দেশে। আর একটা উল্লকেকযজ্ঞ সার্ভিস এসেছে দেশে , তা হল real estate , মানুষের তুলনায় জমি কম এবং , বেশীরভাগ চাকুরী ঢাকা কেন্দ্রীক হওয়ায় অ্যাপার্টমেন্ট কেন্দ্রিক real estate বাবসা যুক্ত হয়েছে অর্থনীতিতে । বাবসা ভিত্তিক সেবা যেমন অ্যাকাউন্টিং এবং বিজনেস administration এর কদর বেড়েছে , university গুলোতে বিবিএ এবং এমবিএ এর ছড়াছড়ি শুরু হয়েছে। broadcasting এবং add বাবসা ভালই চলছে দেশে , অনেক টিভি চ্যানেল হয়েছে দেশে (আবার দুইটি বন্ধ হয়েছে রিসেন্টলি) । আরো পোটৈনশিয়াল সেবার কথা যদি বলি, হতে পারে শিক্ষা এবং tourism, শুধু নেপাল থেকে স্টুডেন্ট আসলেই হবে না , সার্ক এর সব দেশ থেকেই আস্তে হবে। অন্যদিকে , এমন বিশাল সম্মুদ্র সৈকত আমাদের , কক্স বাজারে international এয়ারপোর্ট করে কত ডলার ওয়ালা দেড়কে আকৃষ্ট করতে পারি। সবাই জানে , ভারত এর বাঙ্গালোর পৃথিবীর আইটি ক্যাপিটাল , শুধু তাই নয়, তাদের call সেন্টার এবং উন্নত দেশ এ back অফিস সাপোর্ট আনছে প্রচুর সবুজ মুদ্রা, আরো আছে software ডেভেলপমেন্ট , এর সবই আমরা করতে পারতাম , কিন্তু হল না। কয়েক বছর আগে এক প্রভাবশালি যুবক ডিজিটাল বাংলাদেশ এর সপ্ন দেখালেন , আমি ভাবলাম অনেক কিছুই হবে , ইন্টারনেট এর infrastructure আরো মজবুত হবে , submarine cable এর আরো লান্ডিং পয়েন্ট বসবে , সফ্টওয়্যার রপ্তানী হবে , call সেন্টার এর বাবসা আসবে , আরো কত কিছু , কিন্তু হল না কিছুই।
Monday, September 30, 2013
মুম্বাই এবং দুই মোকান
রাতের ট্রেন ছুটে চলছে , আমি নির্ঘুম এসি স্লীপার কোচ এর উপরের বাংকারে, আমার আশেপাশে সবাই নাক ডেকে ঘুমচ্ছে , অদূরে কেউ একজন দশ মিনিট পর পর বিশেষ শব্দ করছে , আর আমি নাক চেপে ধরছি। ভারতের এই ট্রেন সিষ্টেম এর সাথে আমি পরিচিত নই , একগাদা অপরিচিত লোককে আসে পাশে রেখে ঘুম আসার প্রশ্নই উঠে না , আমি মাঝে মাঝে বউকে ফোন করছি , ফিশ ফিশ করে কথা বলতে হচ্ছে , পাছে অন্যদের ঘুম ভেঙে যায় । একটু পরপর মনিবাগ চেক করছি , কেউ হাতিয়ে নিল নাকি ? নিচে রাখা জুতো জোড়ার জন্যও চিন্তা হচ্ছে । আমার গন্তব্য মুম্বাই সেন্ট্রাল ।
অফিস এর একটা কাজে মুম্বাই আসলাম , আহ, কত দিনের শখ এই শহর দেকবো, শেষে কাজের ছুতোয় আশা হল , কাজ শেষ হলে আজই ফিরে যাব। ট্রেন থমল কাক ডাকআ ভরে , ছয়টার দিকে , আমার অফিস খুলবে নয়টায় , আমার অফিস মানে আমি যে অফিস এ একটা কাজে এসেছি , কিন্তু স্টেশন এর কাছে অপেক্ষা করার মত কোনও রেস্টুরেন্ট খুজে পেলাম না , শেষে ট্যাক্সি করে চললাম গন্তব্যে , ইন্ডিয়ান বুল্স ফাইনান্সিয়াল সেন্টার এ। সকাল বলে রাস্তা ঘাট ফাকা , অন্য শহরের মত ছোট ছোট মোটর বাইকের অতো দৌড়ত্ত নেই। তার মধ্যে আজ রাখী বন্দন, বেশীরভাগ অফিস বন্ধ, তাই পনের মিনিটেই চলে আসলাম , কিন্তু যা ভেবেছিলাম তাই, ভিতরে নয়টার আগে যাওয়া যাবে না। কী আর করা , আবার খুজতে লাগলাম রেস্টুরেন্ট , আর এদিকে খিদেও খুব লেগেছে। শুনেছিলাম ট্রেনে খাওয়ার বাবস্থা আছে , কিন্তু সারা রাত কেউ তো একটা টু করল না ? যাই হক ইন্ডিয়ান বুল্স এর কাছে কোনও রেস্টুরেন্ট খুজে পেলাম না , এলাকাটা কমার্সিয়াল সেন্টার হলেও আসে পাশে সব বস্তি এলাকা , এমনকি বসর মত কোনও বেঞ্চ খুজে পেলাম না । আমি হাটতে লাগলাম , এবং একসময় একটা মোড়ে এসে পড়লাম যেখানে একটা ভ্রাম্যমান নাস্তার দোকান , আমি ছোট বেলা থেকেই রাস্তার পাশের দোকানে চা বিস্কুট , ছোলা মুড়ি খেয়ে অভ্বোষ্ট, কিন্তু ইণ্ডিয়াতে রুচি হয়না , বড় বেশি নোংরা যে । কিন্তু পেটে যে সুচর ডং, উত্সাহ নিয়ে গেলাম, নাস্তার অর্ডার করলাম , লাল রঙের হালুয়া এবং আলু পোহা মিক্স্ড , একদম গরম , বেশ সাদ লাগলো , বিশেষ করে হালুয়া টা অসাধারণ , এখনো মুখে লেগে আছে । মুম্বাই পাও ভাজির জন্য বিক্ষাত, কিন্তু এটা বোধয় ভরে পাওয়া যায় না। নাস্তার পড়ে খেলাম এককাপ গরম চা প্লাস্টিকের কাপে । ইণ্ডিয়াতে একটা জিনিস অবাক হবার মত , তা হল আগুন গরম চা । তবে পরিমাণে প্রায় ঔষধের ডোজের মত ।
এরপর এদিক ওদিক অনেক ঘোরাঘুরি করে শেষ পর্যন্ত অফিস এর ভিতর ঢুকতে পারলাম নয়টায় , এবং এক ঘন্টার মধ্যে কাজ হয়ে গেল, আমার রিটার্ন টিকিট কাটা দুপুরের ট্রেনে , এখনো হাতে বেশ কিছুটা সময় আছে , কিছু যায়গা ঘোরা যায় । ট্যাক্সি নিলাম , বললাম চল হাজী আলীর মজার , আমার বউ বারবার করে বলে দিয়েছে ওখানে যেতে , তার কী যেন একটা মানত আছে । আগেই বলেছি আজ রাখী বন্ধন , তাই ট্রাফিক নেই বললেই , দ্রুত পৌছে গেলাম । জয়গাটা অসাধারণ লাগলো , আর এই প্রথম ভাল করে চোখ মেললাম মুম্বাই এর হাই রাইজ বিল্ডিং , এক পাশে সমুদ্দর , আর এক পাশে ঝক ঝকে এক শহর , আমি তো ম্যান হাটন এর সাথে মিল ঘুজে পেলাম , বরং তার চেয়ে ভাল লাগলো , কী অসাধারণ শোভা, আর হাজী সাহেবের মজার বসছে সমুদ্রের উপরে , এখন জওয়ার বলে মজার যাওয়ার রাস্তা বন্ধ , দূর থেকেই ডেকতে হল , মাজারে অনেক মানুষ আটকে গেছে , দুপুরে যখন পানি নামবে তখন তারা আস্তে পারবে ডাঙ্গায়। কী আর করা , আমি অবশ্সই এখানে দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করব না , ঠিক করলাম বউকে মিতথা বলব যে মজার জেয়ারত করেছি । এত সুন্দর রাস্তা, হাটতে শুরু করলাম , একসময় মনে হল , জয়গাটা খুব চেনা , কী বেপার? আমি তো কোনও দিন মুম্বাই আসিনি , তবে কী জট্টিসর হয়ে আগের জন্মে এখানে ছিলাম ? একটু পরেই মনে পড়ল , এখানে গভীর এক রাতে দাড়িয়ে ছিল করিনা কাপুরের প্রেতত্তা , তাই দেখে এক গাড়ি মারততক অ্যাক্সিডেন্ট করে পড়ে যায় সম্মুদ্রে , ছবির নাম তালাশ ।
হাতে আর বেশি সময় নাই , বহু দিনের শখ, অমিতাভ বচ্চনের বাড়ি ডেকতে যাব , একটা ট্যাক্সি ঠিক করলাম , সে চেনে, যুহু বীচ এ , বললাম চলিয়ে জি , প্রায় অনেক সময়ের পড়ে আমার ট্যাক্সি থমল একটা বাড়ির সামনে , নাম জলসা , এখানেই থাকতেন অমিতাভ , বলল ট্যাক্সি ড্রাইভার । এখন থাকেন ছেলে আর ছেলের বউ , আমার কাছে খুব ইম্প্রেসিভ মনে হল না , বেশ পুরোনো আমলের বাড়ি , চোখে পড়ার মত যা টা হল বাসার সামনে পাচ ছয়জন সিকিউরিটি গার্ড , বসে বাদাম ছিলাচ্ছে ,আর বাসার নিচ তলায় একটা সারির সো রুম মনে হল , সেখানে প্রমাণ সাইজের এক অইশ্হরিয়ার ছবি , আমি একটু হতাশ হলাম , তবে কী অমিতাভের ছেলের বউ এখন সারির দোকান খুলেছে ? তাও আবার নিজ বাসায় ?
যাই হক, এবার আমার ড্রাইভার কে বললাম , বিগ বি কোন বাসায় থাকে? আমাকে সেখানে নিয়ে যাও ভাই। ড্রাইভার বলল , ওকে বস, তারপর পাচ মিনিট পড়ে গাড়ি থমল যে বাসার সামনে তার নাম প্রচেষ্টা , এখনি নাকি থাকেন অমিতাভ । চার পাচ মিনিট থাকলাম যদি বস বের হন , কিন্তু না । অবশেষে গেলাম কাছেই, যুহু বীচ এ , আজ হওয়া বেশি বলে , সমুদ্রে একটা আলগা পাওয়ার এসেছে , বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে সামনে , ভালই লাগলো , আমার মোবাইল সেট দশ বছর আগের বলে ছবি তোলার অপশন নেই , তাই কোনও ছবি তুললাম না । বেশ ভালই লাগলো , তবে বীচ টা আরও সুন্দর করা যেত , বেশ যেন অপরিকল্পিত , সাগরের ধরেই সারি বাধা বাসা বাড়ি , হোটেল বা মোটেল হলেও ভাল লাগতো।
এরপর ট্যাক্সি কে কিং অফ বলীউড এর বাসায় যেতে বললাম , ড্রাইভার আবার অনেক পথ ঘুরে নিয়ে এল সেই হাজী আলীর মাজারের কাছে , অমিত অবাক , বললাম আরে বেটা , এটাইত আগে দেখাবি , তাহলে কিছু সময় সেভ করে মুভি পল্লীটা দেখে আস্তে পারলাম , ড্রাইভার আমার ভাঙ্গা হিন্দী কী বুজল জানিনা , সে বলল বরাবর । সরুক জী মোকান ভালই করেছে , একেবারে সামনেই সম্মুদর , বেশ ভাল লাগলো , কিন্তু হাতে সময় একদম নেই , ট্রেন ফেল করলে আর রিজার্ভেশন পাওয়া যাবে না , ইণ্ডিয়াতে ট্রেনের টিকিট কটকে রিজার্ভেশন বলে , এটা খুব একটা বড় প্রক্রিয়া , শুরু করলে শেষ হতে কয়েকদিন লাগে, আর শর্ট কাট উপায় হল দালাল ধরা , অথবা স্ট্যান্ডিং টিকিট কিনে , ট্রেনে কুলি ধরা , কুলিরা এখানে বস, তারা কিছু একটা করে দিবেই , কিন্তু অত হেপা করে লাভ কী? তাই ছুটলম স্টেশন এ , বাদশার সাথে আর দেখা করা হল না ।
অফিস এর একটা কাজে মুম্বাই আসলাম , আহ, কত দিনের শখ এই শহর দেকবো, শেষে কাজের ছুতোয় আশা হল , কাজ শেষ হলে আজই ফিরে যাব। ট্রেন থমল কাক ডাকআ ভরে , ছয়টার দিকে , আমার অফিস খুলবে নয়টায় , আমার অফিস মানে আমি যে অফিস এ একটা কাজে এসেছি , কিন্তু স্টেশন এর কাছে অপেক্ষা করার মত কোনও রেস্টুরেন্ট খুজে পেলাম না , শেষে ট্যাক্সি করে চললাম গন্তব্যে , ইন্ডিয়ান বুল্স ফাইনান্সিয়াল সেন্টার এ। সকাল বলে রাস্তা ঘাট ফাকা , অন্য শহরের মত ছোট ছোট মোটর বাইকের অতো দৌড়ত্ত নেই। তার মধ্যে আজ রাখী বন্দন, বেশীরভাগ অফিস বন্ধ, তাই পনের মিনিটেই চলে আসলাম , কিন্তু যা ভেবেছিলাম তাই, ভিতরে নয়টার আগে যাওয়া যাবে না। কী আর করা , আবার খুজতে লাগলাম রেস্টুরেন্ট , আর এদিকে খিদেও খুব লেগেছে। শুনেছিলাম ট্রেনে খাওয়ার বাবস্থা আছে , কিন্তু সারা রাত কেউ তো একটা টু করল না ? যাই হক ইন্ডিয়ান বুল্স এর কাছে কোনও রেস্টুরেন্ট খুজে পেলাম না , এলাকাটা কমার্সিয়াল সেন্টার হলেও আসে পাশে সব বস্তি এলাকা , এমনকি বসর মত কোনও বেঞ্চ খুজে পেলাম না । আমি হাটতে লাগলাম , এবং একসময় একটা মোড়ে এসে পড়লাম যেখানে একটা ভ্রাম্যমান নাস্তার দোকান , আমি ছোট বেলা থেকেই রাস্তার পাশের দোকানে চা বিস্কুট , ছোলা মুড়ি খেয়ে অভ্বোষ্ট, কিন্তু ইণ্ডিয়াতে রুচি হয়না , বড় বেশি নোংরা যে । কিন্তু পেটে যে সুচর ডং, উত্সাহ নিয়ে গেলাম, নাস্তার অর্ডার করলাম , লাল রঙের হালুয়া এবং আলু পোহা মিক্স্ড , একদম গরম , বেশ সাদ লাগলো , বিশেষ করে হালুয়া টা অসাধারণ , এখনো মুখে লেগে আছে । মুম্বাই পাও ভাজির জন্য বিক্ষাত, কিন্তু এটা বোধয় ভরে পাওয়া যায় না। নাস্তার পড়ে খেলাম এককাপ গরম চা প্লাস্টিকের কাপে । ইণ্ডিয়াতে একটা জিনিস অবাক হবার মত , তা হল আগুন গরম চা । তবে পরিমাণে প্রায় ঔষধের ডোজের মত ।
এরপর এদিক ওদিক অনেক ঘোরাঘুরি করে শেষ পর্যন্ত অফিস এর ভিতর ঢুকতে পারলাম নয়টায় , এবং এক ঘন্টার মধ্যে কাজ হয়ে গেল, আমার রিটার্ন টিকিট কাটা দুপুরের ট্রেনে , এখনো হাতে বেশ কিছুটা সময় আছে , কিছু যায়গা ঘোরা যায় । ট্যাক্সি নিলাম , বললাম চল হাজী আলীর মজার , আমার বউ বারবার করে বলে দিয়েছে ওখানে যেতে , তার কী যেন একটা মানত আছে । আগেই বলেছি আজ রাখী বন্ধন , তাই ট্রাফিক নেই বললেই , দ্রুত পৌছে গেলাম । জয়গাটা অসাধারণ লাগলো , আর এই প্রথম ভাল করে চোখ মেললাম মুম্বাই এর হাই রাইজ বিল্ডিং , এক পাশে সমুদ্দর , আর এক পাশে ঝক ঝকে এক শহর , আমি তো ম্যান হাটন এর সাথে মিল ঘুজে পেলাম , বরং তার চেয়ে ভাল লাগলো , কী অসাধারণ শোভা, আর হাজী সাহেবের মজার বসছে সমুদ্রের উপরে , এখন জওয়ার বলে মজার যাওয়ার রাস্তা বন্ধ , দূর থেকেই ডেকতে হল , মাজারে অনেক মানুষ আটকে গেছে , দুপুরে যখন পানি নামবে তখন তারা আস্তে পারবে ডাঙ্গায়। কী আর করা , আমি অবশ্সই এখানে দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করব না , ঠিক করলাম বউকে মিতথা বলব যে মজার জেয়ারত করেছি । এত সুন্দর রাস্তা, হাটতে শুরু করলাম , একসময় মনে হল , জয়গাটা খুব চেনা , কী বেপার? আমি তো কোনও দিন মুম্বাই আসিনি , তবে কী জট্টিসর হয়ে আগের জন্মে এখানে ছিলাম ? একটু পরেই মনে পড়ল , এখানে গভীর এক রাতে দাড়িয়ে ছিল করিনা কাপুরের প্রেতত্তা , তাই দেখে এক গাড়ি মারততক অ্যাক্সিডেন্ট করে পড়ে যায় সম্মুদ্রে , ছবির নাম তালাশ ।
হাতে আর বেশি সময় নাই , বহু দিনের শখ, অমিতাভ বচ্চনের বাড়ি ডেকতে যাব , একটা ট্যাক্সি ঠিক করলাম , সে চেনে, যুহু বীচ এ , বললাম চলিয়ে জি , প্রায় অনেক সময়ের পড়ে আমার ট্যাক্সি থমল একটা বাড়ির সামনে , নাম জলসা , এখানেই থাকতেন অমিতাভ , বলল ট্যাক্সি ড্রাইভার । এখন থাকেন ছেলে আর ছেলের বউ , আমার কাছে খুব ইম্প্রেসিভ মনে হল না , বেশ পুরোনো আমলের বাড়ি , চোখে পড়ার মত যা টা হল বাসার সামনে পাচ ছয়জন সিকিউরিটি গার্ড , বসে বাদাম ছিলাচ্ছে ,আর বাসার নিচ তলায় একটা সারির সো রুম মনে হল , সেখানে প্রমাণ সাইজের এক অইশ্হরিয়ার ছবি , আমি একটু হতাশ হলাম , তবে কী অমিতাভের ছেলের বউ এখন সারির দোকান খুলেছে ? তাও আবার নিজ বাসায় ?
যাই হক, এবার আমার ড্রাইভার কে বললাম , বিগ বি কোন বাসায় থাকে? আমাকে সেখানে নিয়ে যাও ভাই। ড্রাইভার বলল , ওকে বস, তারপর পাচ মিনিট পড়ে গাড়ি থমল যে বাসার সামনে তার নাম প্রচেষ্টা , এখনি নাকি থাকেন অমিতাভ । চার পাচ মিনিট থাকলাম যদি বস বের হন , কিন্তু না । অবশেষে গেলাম কাছেই, যুহু বীচ এ , আজ হওয়া বেশি বলে , সমুদ্রে একটা আলগা পাওয়ার এসেছে , বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে সামনে , ভালই লাগলো , আমার মোবাইল সেট দশ বছর আগের বলে ছবি তোলার অপশন নেই , তাই কোনও ছবি তুললাম না । বেশ ভালই লাগলো , তবে বীচ টা আরও সুন্দর করা যেত , বেশ যেন অপরিকল্পিত , সাগরের ধরেই সারি বাধা বাসা বাড়ি , হোটেল বা মোটেল হলেও ভাল লাগতো।
এরপর ট্যাক্সি কে কিং অফ বলীউড এর বাসায় যেতে বললাম , ড্রাইভার আবার অনেক পথ ঘুরে নিয়ে এল সেই হাজী আলীর মাজারের কাছে , অমিত অবাক , বললাম আরে বেটা , এটাইত আগে দেখাবি , তাহলে কিছু সময় সেভ করে মুভি পল্লীটা দেখে আস্তে পারলাম , ড্রাইভার আমার ভাঙ্গা হিন্দী কী বুজল জানিনা , সে বলল বরাবর । সরুক জী মোকান ভালই করেছে , একেবারে সামনেই সম্মুদর , বেশ ভাল লাগলো , কিন্তু হাতে সময় একদম নেই , ট্রেন ফেল করলে আর রিজার্ভেশন পাওয়া যাবে না , ইণ্ডিয়াতে ট্রেনের টিকিট কটকে রিজার্ভেশন বলে , এটা খুব একটা বড় প্রক্রিয়া , শুরু করলে শেষ হতে কয়েকদিন লাগে, আর শর্ট কাট উপায় হল দালাল ধরা , অথবা স্ট্যান্ডিং টিকিট কিনে , ট্রেনে কুলি ধরা , কুলিরা এখানে বস, তারা কিছু একটা করে দিবেই , কিন্তু অত হেপা করে লাভ কী? তাই ছুটলম স্টেশন এ , বাদশার সাথে আর দেখা করা হল না ।
Saturday, June 08, 2013
মানুষ
আমার মনে প্রশ্ন , পৃথিবীতে মানুষ কেন একমাত্র প্রাণী যে
অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি আলাদা এবং উন্নত ? কোনও জীব
বিজ্ঞানীকে এই প্রশ্নটা করতে হবে , তবে উত্তর না পাওয়ার
সম্বোবনা বেশি , চরদিকে যে এত প্রানের ছড়াছড়ি , তাতে তো মানুষের সাথে কার মিল
নেই ? অথচ অন্য প্রজাতিতে রয়েছে যেমন গাধা আর ঘোড়া, তবে আমারে পয়েন্ট এখানে ভিন্ন | আমি মিন করছি
বুদ্ধি , বুদ্ধিতে গবাদি পশুরা তো প্রায় সব একই মনে হয় , কেউ কার চেয়ে খুব বেশি বুদ্ধিমান বলে তো মনে হয় না | কুকুর তো বুদ্ধিমান না , প্রভুভক্ত , সে তো অন্য বেপার , ডলফিন শুনেছি বুদ্ধিমান , তবে কোথায় ? মানুষের কাছাকাছি ? দূর ?
কেন
মিলিয়ন্স প্রাণীর মধ্যে মানুষ এত আলাদা ? একটু খটকা
লাগে না ? এমন তো হতে পারতো ,
প্রায় কাছাকাছি শ্রেণীর কমপক্ষে দুই তিনটা
প্রজাতি থাকতো , তারা পৃথিবী টাকে তাদের মত ভাগ করে নিত , ভয়ানক শত্রু তা থাকতো এদের মধ্যে , মাঝে মাঝেই
যুদ্ধ হতো , কিন্তু তা তো নয় , নাকি
অনেক অনেক আগেই মানুষ তার প্রতিপক্ষ কে একতম শেষ করে দিয়েছে?
এটা হতে পারে |
আর কী হতে পারে ?
বিরাট রহসস , rational আর কী হতে পারে? প্রোব্লেম হচ্ছে ল আর ইকোয়েশন দিয়ে এটার
অকট্টভাবে এক্সপ্লেন করা যাচ্ছে না | জীব বিজ্ঞান তো
অন্য ধরনের বিজ্ঞান , সেখানে অংক নেই |
বিবর্তন ?
হাত আছে বলে ? হাতের বাবহার ?
সাথে সাথে ব্রেন এর exponential গ্রোথ ? তবে অন্যদের কেন হল না ? কেন শুধু একটা প্রজাতি ?
বিবিসি তে
ডকুমেন্টারী খুজতে হবে , অথবা পড়তে হবে বই ,
কিন্তু সময় কই? আগে ভবতাম বই এর কথা মানে দৈব বাণী , এখন তো বুঝি
তা না , অনেক ফাকি
রয়েছে |
সারা ছাত্র
জীবনে , বাযোলজি কে অবহেলা করেছি , ইন্টার এ ছিল
ফোর্থ সাবজেক্ট , মনে করতাম পদার্থ আর রসায়ন পড়ে
সব উদ্ধার হয়ে যাবে , কিনুত না |
ম্যাক্স প্লাংক যখন ঊনিভার্সিটিতে ভর্তি হয় ,
তার শিক্ষক বলেছিল , কেন আসলে খামোকা এই পদার্থ বিজ্ঞান পড়তে
? এই শাখায় সব আবিষ্কার হয়ে গেছে অলরেডি | শুধু ব্লাক বডি radiation
এর explanation টা বাকি আছে , প্লাংক উত্তর দেয় , আবিষ্কার আর কী করব ? আমি শুধু প্রকীতির নিয়ম গুলো বুঝতে চাই| যাই হক
পরে অনেক কিছুই আসে নতুন নলেজ হিসাবে, আগের অনেক কিছুই একদম ভুল
প্রমানিত হয় , কিন্তু তবু তো ছকে বাধা , এনার্জি এবং ফোর্স এর ক্রিয়া বিক্রিয়া | কিন্তু জীব
বিজ্ঞান ? ব্রেন এ বিলীয়ন্স অফ নিউরন এর কী আজব নেটওয়ার্ক , এর dynamics কী?
এই জীবনে কী জানতে পারব এই রহস্স ? মনে হয়
না ?Sunday, May 12, 2013
A day in Pushkar
Category: Travel
Pushkar is an old city located at 14
km North-West from city of Ajmer, Rajasthan.
The beauty of Pushkar is its
smallness and its great geography, and on top of that, it holds hundreds of
Hindu temples which make it a holy place for them. These temples are years-aged
and draw hundreds of pilgrim everyday from across the country. In recent days,
the presence of foreign travelers has increased. I believe one of the reasons
for this is the camel safari.
If you visit Ajmer and have some
spare time in your hands, it is worth a try to visit Pushkar. Even if theoretically
Pushkar is 14 km away from the city center of Ajmer, there is a shortcut road
that goes over the Aravalli mountain range and makes the total trip to 6 km. If
you take this road, and when you are at the peak, you will have an awesome birds-eye-view
of both of the cities, Ajmer and Pushkar.
I and my wife recently travelled to Ajmer.
When we were done in Ajmer Sharif it was early hours of the day. As we were
travelling intermittently, we did not have a fixed plan about where to go next.
To do some research, I turned on my magic device WikiReader that allows me to
browse all the articles in Wikipedia offline. There I came to know about this
wonder city. By the time we got into
Pushkar it was about 11 am. At the entrance of the city we were charged 30
rupees tax to enter into the city. This is very common in India, when you get
around you could be stopped anytime and be charged money. Although you are
given a receipt, sometimes it is not even written in Hindi, so you will never
know what you have paid for. This time though, our driver said to us that the
city government takes this money from visitors to keep the city clean and tidy.
It is true that Pushkar seemed to be a little cleaned than other typical Indian
cities.
When we hit the city, our Chevrolet SUV was being surrounded by a group
of young men who were riding motor bikes. In many ways, they were trying to
draw our attention. From our previous experience in Fatehpur Sikri, we knew
that how irritating and arguing they could be. They claim as local guide and
keep you bothering even if you said straight no to them. So we did not stop and
continued driving, but they escorted us until we reached the city center. We
got left off once we had told them that we are Muslims and not interested in
visiting temples. We were there only for the Camel Safari.
Now that we got into the city, we needed a
plan. My intent was to have a camel safari and if time permitted visit some
must seeing places. When our driver was feeling up diesel, I went ahead and
asked the pump owner about the best hotel in town. From my experience, I knew
that a good hotel can provide us more information about the expedition. In 20
minutes, we ended up in a hotel called Master Paradise. The manager appeared to
be very helpful. He had provided us all the needed information for the Safari,
but he advised it was not a good idea to go out until the afternoon when the
heat would start subsiding. So it came down to the fact that we would have to
stay overnight in Pushkar as the Safari would end at about 8:30 pm. So we
checked in on that very hotel and asked the manager to have everything arranged
for the Safari. The hotel manager called in a man named Dogba and let me to
talk with him. Initially he charged 1500 rupees for two camels for a 4 hour
Safari, but after a little bargaining, he came down to 1200. It had been fixed
that he would pick us up right in front of the hotel at 4:00 pm. We were
advised to take enough liquids with us. In Rajasthan, in this hot weather, just
water does not do the trick. The best option is to squeeze some fresh lemon
into the water bottle and add some salt in it. This way it would rehydrate the
water you are losing continually.
We got couple of hours before we set off our camel ride. The hotel got
an excellent swimming pool. We spent a good one hour in there. We lucked out
that there was no one in the pool area at that time. It might be because of the
off-season. So we relaxed and felt the atmosphere. Across one side of the pool,
there were series of huts in line that were also locked up for the off-season,
we saw a handful of monkeys playing on the roof of the huts. They were pretty
big unlike the monkeys we used to see in the zoo. Earlier, we also had seen
lots of Monkeys playing around all over the town. Monkeys might have a
connection with holy places. From the swimming pool, we have had a panoramic
view of the Ravalli Mountains. It is worth mentioning that Pushkar city is mostly
surrounded by Aravalli Hills. This is the mountain where most of the precious
stones of India are coming from. I assume, most of the forts in west Rajasthan
were built using these stones. Moreover, the lucky stones that we wear on our
fingers also come from Aravalli. The other parts of Pushkar are the desert,
some part of the Thar. Unlike western Rajasthan, it was not flat and sand dunned.
It was rather a bit hilly and made up of mixture of sands and soil.
Finally we were all set for the ride. Two camels were ready for us.
Their names were Sushil and Mr. Jone. We also got two little guides for us who
would take us in the middle of the desert. I did not like the idea though of
getting young kids involved in any professional works, but what could be done? That’s
how it works all over the sub-continent. I insisted Mr. Dogba though, but he
seemed not to get my point, he said there is no worry, the boys had been doing
it days in days out.
Getting on the camels was the most difficult part of the journey. It
reminded me the movie Sonar Kella where Lalmohon babu was scared to death when tried
getting on a camel. I was not worried about me though, I was thinking about my
wife, Could she handle this? In my knowledge, she has never had any outdoor
activities like this all her life. It looked like Mr. Dogba was aware of the
fact that ladies should go first, otherwise seeing anybody getting on would
cause them not to even think of riding a camel. Anyway, my wife managed to do
it, I was standing besides just in case she might fall off and I would have to
catch her. Now it was my turn and I also managed to do it, but speaking truly I
was very scared. At first we were having difficulty when the camels started
walking. Unlike horse or elephant riding, it was too bumpy, it was too high at
the same time. My wife was about to cancel the trip, she was angered and called
out Mr. Dogba and said either Mr. Dogba would give us some grown-up as a guide
or we were going to quit. But Mr. Dogba comforted my wife by telling her that everything
was going to be ok, she would get used to it after few blocks.
Mr. Dogba was proven right after few minutes and we began to have fun.
As our hotel was located on the other side of desert, we had to go through the
city. Because camels are too high, we were able to see the people's backyards
over the boundary walls. Sometimes we were about to hit the telephone wiring
that goes right above our heads and we used to bend down to avoid accident.
Other than that it was too good to be riding on camels. Camels are usually a
slow ride when they walk, but it was quite ok with us. People on the streets
were looking at us, we too were waving off to the kids. On the way, we saw few times,
children were having poop at roadside and even they waved us from that
position.
After about half an hour, we reached at Brahma Mandir. This place always
remains crowdy by pilgrims. At this part of the city, the road was lined up
with shops that sells typical Rajasthani stuff such as gifts, clothing, shoes
that are surely made up of Camel leather. We stopped over for few minutes in
there. I got my 12-year-old guide to buy us Coca-Cola. We also bought them Coca
Cola as they appeared to be thirsty.
When we passed by Brahma Mandir, we could see the desert for the first
time. We left the city road and entered into a narrow road that would lead us
to the sunset point. Our intent was to get to that point well ahead of time
before the sunset. Sunset in ocean, I have seen long ago in Coxes bazaar,
sunset in the mountain, I have seen in the Rocky mountain, and this was the
last one, Sunset in the desert. We didn’t know that our camels were too hungry until
we got to this area. There were lots of trees by the roadside and they started eating
leafs out of the trees. Our little guides were helpless refraining them from
eating. We also tried, but without success. It seemed that we could not make it
to get into the sunset point. But it did not bother us that much. We actually
were enjoying everything around us. I did not know that my wife would like this
safari this much. I took a solemn vow that going forward, I would take my wife
to this kind of adventure every summer.
On our way, we came across a gipsy colony, It was kind of living in the
middle of nowhere, I was wondering how they managed drinking water from here.
The colony was similar to ‘bede' colony in our country except for the fact that
people wears typical Rajasthani dress and there was no snake business involved.
Men tend to wear dresses in white, most likely to protect them from extreme
heat, and women wears colorful though some of them cover up their face by white
veil. And there were children, lots of them. They were playing with sands, the
only thing they had it handy. I was wondering how they would take bath before
go to beds, I was not seeing any water nearby.
After much efforts put by our
little guides, we were able to get to the Sunset spot few minutes before the
sunset. We were more excited because we were getting off the camels for some
time and could stretch out for a while. We relaxed for few minutes and then
took some photographs. By this time, the Sun began setting behind the hills. It
was beautiful to observe the scene. We
found the sand dunes around us very attractive in the light of the setting sun.
Out of nothing appeared a man wearing typical Rajasthani dress. He seemed to be
a singer. He played a very nice tune on his violin-like instrument. He sang
couple of songs and we liked them all. In exchange I handed him 20 rupees upon
my return. He also helped us getting on the camels. We were on our way back to
the hotel. This time our guides made the camels run so we can get back to hotel
in time.
At the end of the day I felt very satisfied and fulfilling. After the
meal, I took a cup of coffee to round off the day. It was about 9 pm and I was
thinking to watch something on the TV. But my wife set her mind to go shopping.
I replied to her, at this hour? She said, the shops are open until midnight.
Saturday, May 11, 2013
এলেবেলে
অনেক দিন পরে আসলাম এই ব্লগ এ , কবে কখন create করেছিলাম মনে নাই । কিছু লেখার আশায় খোলা হয়েছিল এই ব্লগ , লেখা হয়ে উঠেনি কখনো , আর গুছিয়ে লেখার যোগ্যতা নাই , সবচে বড় কথা content নাই । কি নিয়ে লিখব ? যখন ছোট ছিলাম , পেপারে দেখতাম বুদ্ধি জীবিরা কলাম লিখত , ভাবতাম আহা , এরা কি মহান , কত কিছু জানে , বড় হয়ে জানলাম , এরা কাজের কাজ তেমন কিছুই করে না , জ্ঞান বিতরণ করা ছাড়া , খুজতে লাগলাম তাদের যারা কাজ করে এবং লেখে , এমন মানুষও পেলাম না, যারা কাজ করে তারা লেখে না , হয়ত প্রয়োজন মনে করে না ।
এরপর বয়স যখন আরো বাড়ল তখন বুঝলাম , মডেল খুঁজে লাভ নাই , শিক্ষিত খুঁজে লাভ নাই, বড় আত্মা লুকিয়ে থাকতে পারে যেকোনো মানুষের মাঝে , কিছুদিন আগে যে এক রিক্সাওয়ালা অনেক টাকা থানাতে ফেরত দিয়ে আসল , এ একজন সত বেক্তি এবং অবশ্যই মহান আত্মার দাবিদার । মাঝে মাঝে ভাবি , সেই সব লোক কত ভাগ্যবান যারা উত্পাদনের সাথে সম্পৃক্ত , যে কৃষক জমিতে ধান আবাদ করছে অথবা কলের শ্রমিক , মোটকথা যাদের শ্রম সরাসরি পন্যে রুপান্তরিত হয় , ছোটবেলায় এইসব লোককে ছোটলোক ভাবা শেখানো হত , মনে খটকা লাগেনি তা নয়, কিন্তু মেনে নিতে হয়েছে ।
মনের বিকাশ ঘটবে কিভাবে ? বাবা মা ছেলে মেয়ে মানুষ করার নামে শুধু চাপিয়ে দেয় ভুল । মন্দকে ভালো এবং ভালো কে মন্দ বলতে শেকায় , এরপর যোগ হয় সমাজ এবং পারিপার্শিক , সবার চাপে নিজের নিষ্পাপ সত্তা এবং বিচার বুধি কলুষিত হতে শুরু করে , যখন সব চাপ ছাপিয়ে একজন মানুষ বের হয় এবং নিজের সংসার শুরু করে , তখন সে সপূর্ণ পথভ্রষ্ট , তার চোখে গর্বের বেক্তি যে বিদেশে থাকে , আদর্শ চাকরি জিবি যার উপরি আছে , শিক্ষিত সে যে আসলে ভন্ড ,মাননীয় যে যার টাকা আছে ।
আগে ভাবতাম মেধার সাথে ভালো মানুষের সম্পর্ক আছে। আসলে না , যখন বিশ্ব বিদ্যালয় পাশ করি , অনেক বন্ধু ঘোষণা দিল BCS পাশ করেই ঘুষের চাকরি নিবে , তখন ভাবতাম ইআর্কি করে বলছে , পরে মিলিয়ে দেখি আসলেই তাই , যারা GRE TOEFL দিয়ে বিদেশে আসল (আমিও তাদের দলে ) ভাবলাম এরাই ভালো করবে , কিন্ত অঙ্ক মেলে না । সবাই আজ বড় গৃহপালিত হয়ে আছে , নিজের সমস্যা ছাড়া কথায় নাই । আর গোল্লায় যাক সব । এই যে আজ মানবতা হুমকির সামনে , গণ হত্যা , বিচার হহির্বিত হত্যা , জুলুম চলছে দেশে , কোনো বিদেশী বন্ধুর মুখে রা নাই , অন্তত ফেসবুক এ তো কিছু দেখি না
যাক কি লিকতে বসলাম আর কি লিখলাম ।।
এরপর বয়স যখন আরো বাড়ল তখন বুঝলাম , মডেল খুঁজে লাভ নাই , শিক্ষিত খুঁজে লাভ নাই, বড় আত্মা লুকিয়ে থাকতে পারে যেকোনো মানুষের মাঝে , কিছুদিন আগে যে এক রিক্সাওয়ালা অনেক টাকা থানাতে ফেরত দিয়ে আসল , এ একজন সত বেক্তি এবং অবশ্যই মহান আত্মার দাবিদার । মাঝে মাঝে ভাবি , সেই সব লোক কত ভাগ্যবান যারা উত্পাদনের সাথে সম্পৃক্ত , যে কৃষক জমিতে ধান আবাদ করছে অথবা কলের শ্রমিক , মোটকথা যাদের শ্রম সরাসরি পন্যে রুপান্তরিত হয় , ছোটবেলায় এইসব লোককে ছোটলোক ভাবা শেখানো হত , মনে খটকা লাগেনি তা নয়, কিন্তু মেনে নিতে হয়েছে ।
মনের বিকাশ ঘটবে কিভাবে ? বাবা মা ছেলে মেয়ে মানুষ করার নামে শুধু চাপিয়ে দেয় ভুল । মন্দকে ভালো এবং ভালো কে মন্দ বলতে শেকায় , এরপর যোগ হয় সমাজ এবং পারিপার্শিক , সবার চাপে নিজের নিষ্পাপ সত্তা এবং বিচার বুধি কলুষিত হতে শুরু করে , যখন সব চাপ ছাপিয়ে একজন মানুষ বের হয় এবং নিজের সংসার শুরু করে , তখন সে সপূর্ণ পথভ্রষ্ট , তার চোখে গর্বের বেক্তি যে বিদেশে থাকে , আদর্শ চাকরি জিবি যার উপরি আছে , শিক্ষিত সে যে আসলে ভন্ড ,মাননীয় যে যার টাকা আছে ।
আগে ভাবতাম মেধার সাথে ভালো মানুষের সম্পর্ক আছে। আসলে না , যখন বিশ্ব বিদ্যালয় পাশ করি , অনেক বন্ধু ঘোষণা দিল BCS পাশ করেই ঘুষের চাকরি নিবে , তখন ভাবতাম ইআর্কি করে বলছে , পরে মিলিয়ে দেখি আসলেই তাই , যারা GRE TOEFL দিয়ে বিদেশে আসল (আমিও তাদের দলে ) ভাবলাম এরাই ভালো করবে , কিন্ত অঙ্ক মেলে না । সবাই আজ বড় গৃহপালিত হয়ে আছে , নিজের সমস্যা ছাড়া কথায় নাই । আর গোল্লায় যাক সব । এই যে আজ মানবতা হুমকির সামনে , গণ হত্যা , বিচার হহির্বিত হত্যা , জুলুম চলছে দেশে , কোনো বিদেশী বন্ধুর মুখে রা নাই , অন্তত ফেসবুক এ তো কিছু দেখি না
যাক কি লিকতে বসলাম আর কি লিখলাম ।।
Subscribe to:
Posts (Atom)